Saturday, October 24, 2015
$25 বোনাস সহ ফ্রিতে PAYONEER MASTER CARD নিন একদম ঘরে বসে।
10:26 AM
No comments
৪. Payoneer থেকে সরাসরি আপনার ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন, প্রথমে মার্কেট প্লেস থেকে সরাসরি বাংলাদেশি ব্যাংক সাপোর্ট না করলে যদি Payoneer সাপোর্ট থাকে তাহলে প্রথমে মার্কেট প্লেস থেকে Payoneer এ পেমেন্ট দিতে পারবেন, এবং Payoneer থেকে সরাসরি আপনার যে কোন বাংলাদেশি ব্যাংকে পেমেন্ট দিতে পারবেন। এতে ডলার রেট বেশি পাওয়া যায় সরাসরি মার্কেট থেকে পেমেন্টর দেয়ার তুলনায়। আপনি যদি সরাসরি মার্কেট প্লেস থেকে ব্যাংকে পেমেন্ট দেন তাহলে ডলার রেট পাবেন 74.74 টাকা কিছুটা কম/বেশি, আর Payoneer থেকে দিলে প্রায়ই 77 see more
Thursday, October 22, 2015
জান্নাতের পথে বাধা সৃষ্টি করে যে সব কাজ
5:42 AM
No comments
১. ঈমান না আনা
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلا مُؤْمِنٌ
“ঈমানদার ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (বুখারী ও মুসলিম)
তিনি আরও বলেন,
لا تَدْخُلُوا نَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا
“তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।” (সহীহ্ মুসলিম, হা/৫৪)
২. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ لا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ
“যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহীহ মুসলিম/৪৬)
৩. অহংকার করা
রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ
“যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার রয়েছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না ।” (মুসলিম, হা/৯১)
৪. চোগলখোরি ও পরনিন্দা করা
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ نَمَّامٌ
“চুগলখোর বা পর নিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না ।” (সহীহ মুসলিম, হা/১০৫)
তিনি আরও বলেছেন,
تَجِدُ مِنْ شَرِّ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ اللَّهِ ذَا الْوَجْهَيْنِ الَّذِي يَأْتِي هَؤُلَاءِ بِوَجْهٍ وَهَؤُلَاءِ بِوَجْهٍ
“কিয়ামতের দিন সবচেয়ে খারাপ লোকদের দলভুক্ত হিসেবে ঐ ব্যক্তিকে দেখতে পাবে যে, যে ছিল দুমুখো- যে এক জনের কাছে এক কথা আরেক জনের কাছে আরেক কথা নিয়ে হাজির হত।” (সহীহ মুসলিম, হা/২৫২৬)
৫. আত্মহত্যা করা
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
مَنْ تَرَدَّى مِنْ جَبَلٍ فَقَتَلَ نَفْسَهُ ، فَهْوَ فِى نَارِ جَهَنَّمَ ، يَتَرَدَّى فِيهِ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا ، وَمَنْ تَحَسَّى سَمًّا فَقَتَلَ نَفْسَهُ ، فَسَمُّهُ فِى يَدِهِ ، يَتَحَسَّاهُ فِى نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا ، وَمَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِحَدِيدَةٍ ، فَحَدِيدَتُهُ فِى يَدِهِ ، يَجَأُ بِهَا فِى بَطْنِهِ فِى نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا
“যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে যাবে। সেখানে সর্বদা সে ওইভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে অনন্তকাল ধরে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, সে তার বিষ তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সর্বদা সে ওইভাবে নিজেকে বিষ খাইয়ে মারতে থাকবে অনন্তকাল ধরে। যে কোনো ধারালো অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করেছে তার কাছে জাহান্নামে সে ধারালো অস্ত্র থাকবে যার দ্বারা সে সর্বদা নিজের পেটকে ফুঁড়তে থাকবে। [সহীহ বুখারী : ৫৪৪২; মুসলিম : ১০৯]
৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ
“আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহীহ মুসলিম, হা/২৫৫৬)
৭. হারাম খাওয়া
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ
“হারাম অর্থের মাধ্যমে (যে শরীরে) মাংস বৃদ্ধি পেয়েছে তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি হারাম অর্থ ও অবৈধ উপার্জন দ্বারা দেহ গঠন করেছে জাহান্নামের আগুনই তার প্রাপ্য।” (তাখরীজ মিশকাতুল মাসাবীহ,সহীহ, আলবানী, হাদীস নং ২৭০৩)
৮. উপকার করে খোটা দেয়া
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنَّانٌ
“সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যে উপকার করে খোটা দেয়।” সুনান নাসাঈ, হা/ ৫৬৮৮, সহীহ, আলবানী)
৯. তক্দীর (ভাগ্যের লিখন) অস্বীকার করা
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَاقٌّ ، وَلا مُدْمِنُ خَمْرٍ ، وَلا مُكَذِّبٌ بِقَدَرٍ
“পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, মদ্যপায়ী এবং তকদীর অস্বীকার কারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সিলসিলা সহীহা, হাসান, ৬৭৫)
১০. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
১১. মদ, গাঁজা ও নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
১২. গণক
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
” لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ خَمْسٌ ، مُدْمِنُ خَمْرٍ ، وَلا مُؤْمِنٌ بِسِحْرٍ ، وَلا قَاطِعُ رَحِمٍ ، وَلا مَنَّانٌ ، وَلا كَاهِنٌ ”
“পাঁচ শ্রেণির মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (তারা হল,) মদ্যপায়ী, যাদুর বৈধতায় বিশ্বাসী, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, চোগলখোর এবং গণক।” (মুসনাদে আহমদ, হাসান, আলবানী)
১৩. ঋণ পরিশোধ না করা
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট কোন ঋণগ্রস্ত মৃতের লাশ (জানাযার জন্য) নিয়ে আসা হলে জিজ্ঞেস করতেন, “সে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করেছে কি না?” যদি বলা হত করেছে, তবে জানাযা পড়তেন। অন্যথায় (সাহাবীদেরকে) বলতেন,
صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ
“তোমরা তোমাদের সাথীর জানাযা পড়ে নাও (কিন্তু তিনি নিজে তাতে অংশ গ্রহণ করতেন না)। (সহীহ মুসলিম, হা/১৬১৯)
অন্য হাদীসে রয়েছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
يُغْفَرُ لِلشَّهِيدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلَّا الدَّيْنَ
“শহীদের ঋণ ছাড়া সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” (সহীহ মুসলিম, হা/১৮৮৬)
১৪. পুরুষ বেশধারী নারী
১৫. দাইয়ুস
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
ثَلاثٌ لا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ : الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ ، وَالدَّيُّوثُ ، وَرَجُلَةُ النِّسَاءِ
“তিন শ্রেণির লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তারা হল, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, দাইয়ূস এবং পুরুষ বেশধারী নারী।” (সহীহুল জামে, আলবানী, হা/৩৬৩)
দাইয়ুস: রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
الدَّيُّوثُ الَّذِي يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخَبَثَ
“ঐ ব্যক্তিকে দাইয়ুস বলা হয় যে তার পরিবারের অশ্লীলতা ও কুকর্মকে মেনে নেয়।” (মুসনাদ আহমদ, নাসাঈ)
১৬. বৃদ্ধ ব্যভিচারী
১৭. মিথ্যাবাদী শাসক
১৮. অহংকারী দরিদ্র
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ثَلاثَةٌ لا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ : شَيْخٌ زَانٍ ، وَمَلِكٌ كَذَّابٌ ، وَعَائِلٌ مُسْتَكْبِرٌ
“কিয়ামতের আল্লাহ দিন তিন শ্রেণীর লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে পীড়া দায়ক শাস্তি। তারা হল, বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক, অহংকারী দরিদ্র। (মুসলিম, হা/১০৭)
১৯. কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক এবং যে ব্যক্তি মানুষের কাছে এমন বিষয় নিয়ে গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার নিকট নেই
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ الْجَوَّاظُ ، وَلَا الْجَعْظَرِيُّ
“কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং ঐ লোকও নয় যে এমন সব বিষয়ে মানুষের নিকট গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার কাছে নাই।” (আবু দাঊদ, হা/৪৮০১, সহীহ, আলবানী)
২০. মুসলিম সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ ভাবে বসবাসকারী অমুসলিমকে হত্যা করা
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا لَمْ يَرِحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ ، وَإِنَّ رِيحَهَا تُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ عَامًا
“যে ব্যক্তি কোন মুয়াহিদ তথা মুসলিম সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ ভাবে বসবাসকারী কোন অমুসলিমকে হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের পথের দূরত্ব থেকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।” (সহীহ বুখারী হা/৩১৬৬)
২১. বিশ্বাসঘাতক শাসক
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْتَرْعِيهِ اللَّهُ رَعِيَّةً ، يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لِرَعِيَّتِهِ إِلا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ
“যাকে আল্লাহ তায়ালা জনসাধারণের শাসনকর্তা হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, কিন্তু সে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং বিশ্বাসঘাতক অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে তাহলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন।” (সহীহ মুসলিম, হা/১৪২)
২২. মানুষকে প্রহার করা
২৩. মহিলাদের পর্দা হীনতা
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ ، لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ ، رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ ، لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا ، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا
“দু শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামে যাবে- যাদের আমি এখনো দেখি নি। (অর্থাৎ নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে তাদের আত্মপ্রকাশ হয় নি)
ক) এমন কিছু লোক যাদের হাতে থাকবে গরুর লেজের মত লাঠি। এরা তা দিয়ে জনগণকে প্রহার করবে।
খ) এবং ঐ সকল উলঙ্গ-অর্ধ উলঙ্গ নারী যারা (নিজেদের চলাফেরা ও বেশ-ভূষায়) মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং নিজেরাও অন্য মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথায় উটের মত উঁচু এবং একপাশে ঝুঁকে থাকা চূড়ার মতো কেশ রাশি শোভা পাবে। এসমস্ত নারী জান্নাতে তো যাবেই না বরং জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না অথচ এত এত দূর থেকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।” (সহীহ মুসলিম, হা/২১২৮)
নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না
5:16 AM
No comments
প্রশ্ন: নামায না পড়ে সিয়াম পালন করা কি জায়েয?
উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
বে-নামাযীর যাকাত, রোজা, হজ্জ ইত্যাদি কোনো আমলই কবুল হয় না।
ইমাম বুখারী (৫২০) বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
( مَنْ تَرَكَ صَلاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ )
“যে ব্যক্তি আসরের নামায ত্যাগ করে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়।”
“তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়” এর অর্থ হল: তা বাতিল হয়ে যায় এবং তা তার কোনো কাজে আসবে না। এ হাদিস প্রমাণ করে যে, বেনামাযীর কোনো আমল আল্লাহ কবুল করেন না এবং বেনামাযী তার আমল দ্বারা কোন ভাবে উপকৃত হবে না। তার কোনো আমল আল্লাহর কাছে উত্তোলন করা হবে না।
ইবনুল কায়্যিম তাঁর ‘আস-স্বালাত’ (পৃ-৬৫) নামক গ্রন্থে এ হাদিসের মর্মার্থ আলোচনা করতে গিয়ে বলেন – “এ হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, নামায ত্যাগ করা দুই প্রকার:
(১) পুরোপুরিভাবে ত্যাগ করা। কোন নামাযই না-পড়া। এ ব্যক্তির সমস্ত আমল বিফলে যাবে।
(২) বিশেষ কোন দিন বিশেষ কোন নামায ত্যাগ করা। এক্ষেত্রে তার বিশেষ দিনের আমল বিফলে যাবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে সালাত ত্যাগ করলে তার সার্বিক আমল বিফলে যাবে। আর বিশেষ নামায ত্যাগ করলে বিশেষ আমল বিফলে যাবে।” সমাপ্ত।
“ফাতাওয়াস সিয়াম” (পৃ-৮৭) গ্রন্থে এসেছে শাইখ ইবনে উছাইমীনকে বেনামাযীর রোজা রাখার হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো তিনি উত্তরে বলেন:বেনামাযীর রোজা শুদ্ধ নয় এবং তা কবুলযোগ্য নয়। কারণ নামায ত্যাগকারী কাফের, মুরতাদ। এর সপক্ষে দলিল হচ্ছে-
আল্লাহ্ তাআলার বাণী:
( فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ ) [9 التوبة : 11]
“আর যদি তারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় তবে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই।” [৯ সূরা আত্ তওবা: ১১]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী:
( بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلاةِ ) رواه مسلم (82)
“কোন ব্যক্তির মাঝে এবং শির্ক ও কুফরের মাঝে সংযোগ হচ্ছে সালাত বর্জন।”[সহিহ মুসলিম (৮২)]
এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী –
( الْعَهْدُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ الصَّلاةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ ) رواه الترمذي (2621) . صححه الألباني في صحيح الترمذي
“আমাদের ও তাদের মধ্যে চুক্তি হলো নামাযের। সুতরাং যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করল, সে কুফরি করল।”[জামে তিরমিযী (২৬২১), আলবানী ‘সহীহ আত-তিরমিযী’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলে চিহ্নিত করেছেন]
এই মতের পক্ষে সাহাবায়ে কেরামের ‘ইজমা’ সংঘটিত না হলেও সর্বস্তরের সাহাবীগণ এই অভিমত পোষণ করতেন।
প্রসিদ্ধ তাবেয়ী আব্দুল্লাহ ইবনে শাক্বিক রাহিমাহুমুল্লাহ বলেছেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীগণ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরি মনে করতেন না।”
পূর্বোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে বলা যায়, যদি কোন ব্যক্তি রোজা রাখে; কিন্তু নামায না পড়ে তবে তার রোজা প্রত্যাখ্যাত, গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা কেয়ামতের দিন আল্লাহ্র কাছে কোন উপকারে আসবে না। আমরা এমন ব্যক্তিকে বলবো: আগে নামায ধরুন, তারপর রোজা রাখুন। আপনি যদি নামায না পড়েন, কিন্তু রোজা রাখেন তবে আপনার রোজা প্রত্যাখ্যাত হবে; কারণ কাফেরের কোন ইবাদত কবুল হয় না।
(Collected)
~ সমাপ্ত~
Friday, October 16, 2015
Thursday, October 8, 2015
কেন আপনি দাড়ি রাখবেন
9:55 AM
No comments
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা মোচ ছাঁট এবং দাড়িকে লম্বা কর। আর মহান
আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন, রাসুল (সাঃ) তোমাদেরকে যা আদেশ করেন তা তোমরা পালন
কর এবং যা করতে নিষেধ করেন তা তোমরা বর্জন কর। সুতরাং এটা থেকে বুঝা যায়
দাড়ি রাখাটা সরাসরি আল্লাহর হুকুম। আর আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘন করাটা কবিরাহ
গুনাহ। সুতরাং দাড়ি না রাখা গুনাহে কবিরাহ। মনে রাখবেন একটি কবিরাহ গুনাই
আপনাকে জাহান্নামে নেয়ার জন্য যথেষ্ট।
❖ আল্লাহ্ নারী এবং পুরুষকে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের মাধ্যমে পার্থক্য
করে সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে দাড়ি একটি। যেমনঃ পুরুষের দাড়ি আছে কিন্তু
নারীদের দাড়ি নেই। সুতরাং যারা দাড়ি না রেখে কেটে ফেলতেছেন তারা আল্লাহর
সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন। (নাউজুবিল্লাহ) যা একটা কবিরাহ গুনাহ।
মনে রাখবেন একটি কবিরাহ গুনাই আপনাকে জাহান্নামে নেয়ার জন্য যথেষ্ট।
❖ রাসুল (সাঃ) এর নিকট দুজন ব্যক্তি সাক্ষাৎ এর জন্য এসেছিলেন, যাদের মুখে দাড়ি ছিল না, তাই তাদের দেখে রাসুল (সাঃ) মুখ ফিরিয়ে নিলেন। (নাউজুবিল্লাহ)। একবার চিন্তা করে দেখুন দুনিয়াতেই যারা দাড়ি রাখেনে তাদের দেখে যদি রাসুল (সাঃ) মুখ ফিরিয়ে নেন, তবে কাল কিয়ামতের সেই কঠিন মুহূর্তে যেখানে রাসুল (সাঃ) এর সাফায়াত ছাড়া মুক্তি পাওয়ার কোন উপায়ই নেই, সেখানে আপার মুখে দাড়ি না থাকলে রাসুল (সাঃ) যদি বলে তুমি আমার উম্মত নও। (নাউজুবিল্লাহ)। তখন কিন্তু ভাই আফসোসের শেষ থাকবে না ।
❖ দাড়ি রাখলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) এর হুকুম মানা হয় আর না রাখলে হুকুম অমান্য করা হয়। (নাউজুবিল্লাহ)।
দাড়ি রাখার আরও কিছু উপকারিতা হলঃ
❖ দাড়ি রাখা দ্বারা সকল নবীগণের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হয়।
❖ দাড়ি রাখলে নবীজির শাফায়াত লাভ হবে।
❖ দাড়ি রাখলে কবরের আযাব মাফ হবে।
❖ দাড়িওয়ালার প্রতি মানুষের ধারণা ভাল থাকে এবং সে মানুষের দোয়া পায়।
❖ দাড়িতে চেহারার সৌন্দর্য্য বাড়ে এবং এবং বীরত্বের পরিচয বহন করে।
❖ কিয়ামতের অন্ধকারে মুমিনের দাড়ি নূরে পরিণত হবে।
❖ ঈমান-আমল ঠিক থাকলে দাড়িওয়ালা ব্যক্তি নবী ও ওলীর সাথে সাক্ষাৎ ও হাশর হবে।
❖ দাড়ি রাখলে অনেক পাপ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
❖ দাড়ি ইসলামী সভ্যতার অন্যতম প্রতীক।
❖ দাড়ি রাখলে মুনকার- নাকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ হয়।
❖ লম্বা দাড়ি স্বাস্থের ক্ষতিকর জীবানু গুলোকে গলা ও সিনাতে পৌঁছতে দেয় না।
❖ দাড়ি গলাকে শীত ও গরমের বিরুপ প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখে।
❖ দাড়ির অস্তিত্ব যৌনশক্তিকে বৃদ্ধি করে, যা ডাক্তার দ্বারা প্রমাণিত।
❖ দাড়ি রাখলে সেভ করার অনর্থক সময় ও অর্থ অপচয় থেকে বাঁচা যায়।
❖ দাড়ি দ্বারা গুণাহে জারিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
❖ দাড়িতে ক্ষুর বা ব্লেড লাগালে ,চোখের রগের উপর আঘাত লাগে। ফলে চোখের জ্যোতি কমে যায় এবং মুখের চামড়া শক্ত হয়ে যায়। তাই দাড়ি রাখলে এই ক্ষতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
❖ যারা দাড়ি কেটে ফেলতেছেন তারা বড় অন্যায় করতেছেন, বড় বোকামি করতেছেন। দাড়ি ছাড়া কবরের গেলে কি হবে এবং দাড়ি নিয়ে কবরে গেলে কি হবে একটু ভেবে দেখুন। সুতরাং আজ থেকেই তওবা করে দাড়ি রেখে দিন। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুক। আমিন
❖ রাসুল (সাঃ) এর নিকট দুজন ব্যক্তি সাক্ষাৎ এর জন্য এসেছিলেন, যাদের মুখে দাড়ি ছিল না, তাই তাদের দেখে রাসুল (সাঃ) মুখ ফিরিয়ে নিলেন। (নাউজুবিল্লাহ)। একবার চিন্তা করে দেখুন দুনিয়াতেই যারা দাড়ি রাখেনে তাদের দেখে যদি রাসুল (সাঃ) মুখ ফিরিয়ে নেন, তবে কাল কিয়ামতের সেই কঠিন মুহূর্তে যেখানে রাসুল (সাঃ) এর সাফায়াত ছাড়া মুক্তি পাওয়ার কোন উপায়ই নেই, সেখানে আপার মুখে দাড়ি না থাকলে রাসুল (সাঃ) যদি বলে তুমি আমার উম্মত নও। (নাউজুবিল্লাহ)। তখন কিন্তু ভাই আফসোসের শেষ থাকবে না ।
❖ দাড়ি রাখলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) এর হুকুম মানা হয় আর না রাখলে হুকুম অমান্য করা হয়। (নাউজুবিল্লাহ)।
দাড়ি রাখার আরও কিছু উপকারিতা হলঃ
❖ দাড়ি রাখা দ্বারা সকল নবীগণের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হয়।
❖ দাড়ি রাখলে নবীজির শাফায়াত লাভ হবে।
❖ দাড়ি রাখলে কবরের আযাব মাফ হবে।
❖ দাড়িওয়ালার প্রতি মানুষের ধারণা ভাল থাকে এবং সে মানুষের দোয়া পায়।
❖ দাড়িতে চেহারার সৌন্দর্য্য বাড়ে এবং এবং বীরত্বের পরিচয বহন করে।
❖ কিয়ামতের অন্ধকারে মুমিনের দাড়ি নূরে পরিণত হবে।
❖ ঈমান-আমল ঠিক থাকলে দাড়িওয়ালা ব্যক্তি নবী ও ওলীর সাথে সাক্ষাৎ ও হাশর হবে।
❖ দাড়ি রাখলে অনেক পাপ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
❖ দাড়ি ইসলামী সভ্যতার অন্যতম প্রতীক।
❖ দাড়ি রাখলে মুনকার- নাকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ হয়।
❖ লম্বা দাড়ি স্বাস্থের ক্ষতিকর জীবানু গুলোকে গলা ও সিনাতে পৌঁছতে দেয় না।
❖ দাড়ি গলাকে শীত ও গরমের বিরুপ প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত রাখে।
❖ দাড়ির অস্তিত্ব যৌনশক্তিকে বৃদ্ধি করে, যা ডাক্তার দ্বারা প্রমাণিত।
❖ দাড়ি রাখলে সেভ করার অনর্থক সময় ও অর্থ অপচয় থেকে বাঁচা যায়।
❖ দাড়ি দ্বারা গুণাহে জারিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
❖ দাড়িতে ক্ষুর বা ব্লেড লাগালে ,চোখের রগের উপর আঘাত লাগে। ফলে চোখের জ্যোতি কমে যায় এবং মুখের চামড়া শক্ত হয়ে যায়। তাই দাড়ি রাখলে এই ক্ষতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
❖ যারা দাড়ি কেটে ফেলতেছেন তারা বড় অন্যায় করতেছেন, বড় বোকামি করতেছেন। দাড়ি ছাড়া কবরের গেলে কি হবে এবং দাড়ি নিয়ে কবরে গেলে কি হবে একটু ভেবে দেখুন। সুতরাং আজ থেকেই তওবা করে দাড়ি রেখে দিন। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুক। আমিন
Subscribe to:
Posts (Atom)